বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস: কুমিল্লা ধর্মসাগর পাড়ে গোমতী হাসপাতালের বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয় উদ্যোগ
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস: ধর্মসাগর পাড়ে গোমতী হাসপাতালের মানুষের পাশে থাকার এক সুন্দর উদ্যোগ
১৪ নভেম্বর—বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতার কথা আমরা অনেকই শুনি, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে অথবা সঠিক সুযোগ না থাকার কারণে অনেকেই নিয়মিত পরীক্ষা করাতে পারেন না। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে গোমতী হাসপাতাল, কুমিল্লা এবার ধর্মসাগর পাড়ে আয়োজন করেছিল বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয় ও পরামর্শ ক্যাম্প।
সকালের মৃদু রোদ আর ধর্মসাগরের বাতাসে মানুষজন জড়ো হতে শুরু করেন। কেউ কেউ এসেছেন কৌতূহল থেকে, কেউ সচেতনতার কারণে, আবার কারও মনে ছিল শঙ্কা—“ডায়াবেটিস আছে কিনা জানি না!” ঠিক সেই মুহূর্তে গোমতী হাসপাতালের টিম মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে খুবই আন্তরিকতা নিয়ে।
গোমতী হাসপাতালের কার্যক্রম: যার লক্ষ্য ছিল শুধু একটাই—মানুষকে সঠিক তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়া
✔ বিনামূল্যে রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা
এখানে কোনো তাড়া নেই, কোনো ঝামেলা নেই। হাসিমুখে টিম সবাইকে পরীক্ষা করল। খুব দ্রুত ও নির্ভুল রিপোর্ট হাতে পেয়ে অনেকেই স্বস্তি অনুভব করেছেন।
✔ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ
পরীক্ষার পরেই সবার সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল—“রক্তের চিনির পরিমাণ বেশি হলে কী করব?”
গোমতী হাসপাতালের ডাক্তাররা খুব সহজ ভাষায় ঝুঁকি, প্রতিরোধ, চিকিৎসা এবং জীবনযাপনের ব্যাপারে ব্যাখ্যা করেছেন। মানুষজনও আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন।
✔ খাদ্যাভ্যাস নিয়ে পুষ্টিবিদের সরাসরি গাইডলাইন
ডায়াবেটিস মানেই খাবার বঞ্চনা—এই ভুল ধারণা ভাঙানো হয়েছে। পুষ্টিবিদরা বাস্তবসম্মত খাদ্যতালিকা সাজিয়ে দিয়েছেন, যা অনুসরণ করলে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
✔ ইনসুলিন ব্যবহারের সঠিক পরামর্শ
যাদের ইনসুলিন ব্যবহার করতে হয় বা করতে হবে—তাদের জন্য দেওয়া হয়েছে ধাপে ধাপে ব্যবহার নির্দেশনা। অনেকেই বলছিলেন, তারা এতদিন যেভাবে ব্যবহার করছিলেন, তা পুরোপুরি ঠিক ছিল না। এই ক্যাম্প তাদের জন্য সত্যিই সহায়ক হয়েছে।
মানুষের সেবায় গোমতী হাসপাতাল: এটা শুধু একটি হাসপাতাল নয়, একটি পরিবার
গোমতী হাসপাতাল সবসময় চেয়েছে মানুষের খুব কাছে থাকতে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত চিকিৎসার সুযোগ পান না, তাদের জন্য এমন উদ্যোগ আরও বেশি প্রয়োজন।
ধর্মসাগর পাড়ের এই উন্মুক্ত আয়োজন দেখিয়েছে—স্বাস্থ্যসেবা শুধু ভবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি মানুষের মাঝে পৌঁছে যেতে পারে।
অনেকেই পরীক্ষা শেষে হাসিমুখে বলছিলেন—
“এটা যদি নিয়মিত হয়, তাহলে আমরা নিজেদের আরও ভালোভাবে সচেতন রাখতে পারব।”
এটাই ছিল গোমতী হাসপাতালের সাফল্য।